ইসলাম ধর্মে দান দাতার ইহকালীন ও পরকালীন ফজিলত, সম্মান ও গৌরব বৃদ্ধি করে। তাই তা ইজ্জত, হুরমত ও তাজিমের সঙ্গে সযত্নে প্রদান করতে হয়। দান–সদকা, খয়রাত সসম্মানে পবিত্র মনে প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে হয়। দানের ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার দিতে হয়।
অসহায় দরিদ্রদের দান-সদকা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সওয়াবের কাজ। কুরআন-হাদীসে এ ব্যাপারে অনেক উৎসাহিত করা হয়েছে।
সংসার জীবনে স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর টাকা-পয়সা বা অন্য কোনো কিছু স্ত্রী দান-সদকা করতে পারবেন কি? বিষয়টি নিয়ে অনেকের কৌতুহল রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইসলামী ফকীহগণ বলেছেন, স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর টাকা-পয়সা বা অন্য কিছু স্ত্রীর কাউকে দেওয়া বা দান-সদকা করা বৈধ নয়।
কারণ হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেছেন। যেমন, হযরত আবু উমামা বাহিলি রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেছিলেন, কোনো মহিলা নিজের স্বামীর ঘর থেকে তার অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু ব্যয় ও খরচ করবে না- এমনকি খাবারজাতীয় জিনিসও।
উল্লেখ্য, স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান-সদকা করা যে একবারে নিষিদ্ধ এমন নয়, বরং স্বামীর মৌন সমর্থন থাকলে তা করা যেতে পারে।
স্বামী কাছে না থাকার কারণে, কিংবা স্বামীকে জানানোর সুযোগ না হলে, যদি স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী অল্প কিছু দান-সদকা করেন এবং পরবর্তীতে স্বামী তা জেনে মৌন সমর্থন অবলম্বন করেন- তাহলে ধরে নিতে হবে এতে তার পক্ষ থেকে অনুমতি রয়েছে। এ রকম দান-সদকা বৈধ। এতে ভালো কাজের কারণে স্ত্রী সওয়াব পাবেন। এতে স্বামীও তার সম্পদের অংশবিশেষ দান করার কারণে সওয়াব পাবেন।
তথ্যসূত্র
বুখারী-১৪৪০, আবু দাউদ-৩৫৭৫, কিতাবুল ফাতাওয়া খণ্ড-৩ পৃষ্ঠা-৩৪০
Leave a Reply