সুন্দর্য মহান আল্লাহ তাআলার একটি বড় নিয়ামত। সৌন্দর্যের প্রতি সবারই রয়েছে স্বাভাবিক দুর্বলতা। নিজেকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে, বিশেষ করে নারীরা ধরণা দিচ্ছে প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে। উন্নত বিশ্বে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে রাতারাতি পাল্টে ফেলা সম্ভব হচ্ছে সামগ্রিক দৃশ্যপট। এই সৌন্দর্য বাড়াতে মেমোপ্লাস্টির ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি এমন ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি, যাতে স্তনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। অর্থাৎ ছোট স্তনকে শরীরের সাথে মানানসই আকার যেমন দেয়া হচ্ছে, তেমনি বেমানান বড় আকারের স্তনকেও ছোট করা সম্ভব।
প্রতিটি কাজেই ইসলামী রীতিনীতি ও ইসলামী আইন-কানুন রয়েছে। এ ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিকোণ হল, মানুষের শরীর আল্লাহর আমানত। এর স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। মানুষকে শুধু ভোগ দখলের অধিকার দেয়া হয়েছে। তাই শরীরকে যাচ্ছেতাইভাবে পরিবর্তন করার অধিকার মানুষ সংরক্ষণ করে না। হ্যাঁ, অসুস্থ্য হলে অঙ্গ বেশি হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু সৌন্দর্যতার নামে শরীরের গঠন পরিবর্তন করা হারাম।
সে কারণেই হাদীস শরীফে পরিস্কার শব্দে মানুষের চুল মাথায় সংযোজন করতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সাথে দুই দাঁতের মাঝখানের ফাঁক সৃষ্টি করার জন্য দাতকে কিছুটা কর্তন করতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এসব হাদীস প্রমাণ করে যে, শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সার্জারী করে স্তন ছোট করা বা বড় করা জায়েজ নয়।
হযরত আবদুল্লাহ রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মানবদেহে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কনপ্রার্থিণী নারী, (বড় দেখাবার জন্য) কপাল ভ্রুর চুল উৎপাটনকারিণী ও উৎপাটনকামী নারী এবং (সৌন্দর্য সুষমা বৃদ্ধির মানসে) দাঁতের মাঝে (সুষম) ফাঁক সৃষ্টিকারিনী, যারা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনকারিণী, এদের আল্লাহ তা’আলা লানত করেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২১২৫
অন্য হাদীসে হযরত ইবনু উমার রাযি. থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরচুলা সংযোজনকারিণী ও সংযোজনপ্রার্থণী এবং মানবদেহে চিত্র (উল্কী) অঙ্কনকারিনী ও অঙ্কনপ্রার্থিনীদের লা’নত করেছেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২১২৪
সুনানে নাসায়ী শরীফে হযরত আবূ রায়হানা রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁতকে চিকন করতে উল্কি আঁকতে এবং চুল উপড়ে ফেলাকে হারাম করেছেন। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫১১০
Leave a Reply