জিজ্ঞাসাঃ আমার স্বামী বিদেশ থাকেন। দেশে আসবেন অনেক দিন পর। এখন যেদিন সে দেশে আসবেন, তার একদিন আগে থেকে আমার পিরিয়ড শুরু হবে। এখন আমি কি ওষধ সেবন করে আমার নিয়মিত পিরিয়ড আগে বা পিছাতে পারব?
সমাধানঃ মাসিক বা পিরিয়ড নারীর কোন রোগ-ব্যাধি না। বরং এটা নারীদের জন্য প্রাকৃতিক নিয়ম। প্রতিমাসে তা আসা স্বাভাবিক। ওষধ খেয়ে মাসিক বন্ধন করাটাই ভালো। কেননা, এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া বেশি দিনের ব্যাপারও না। স্বামীকে ধর্য ধরতে বলুন।
আসলে আপনি জানেন কী? এ ধরনের ওষুধ নারীর প্রজনন তন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই এসব কাজ ভুলেও করা যাবে না।
এক.ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সময় এগিয়ে আনলে বা পেছালে ঋতুস্রাবের চক্রে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। অনেকে ওষুধ সেবন করে স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চক্রে পরিবর্তন আনছেন। আর কিছু নারী আবার এই ওষুধগুলোকে জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ ভেবে সেবনের কারণে গর্ভবতীও হয়ে যান।
দুই.ঋতুস্রাব বিলম্ব করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পর কয়েকমাস ঋতুস্রাবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হতে পারে।
তিন.ঋতুস্রাব বিলম্বিত করার ওষুধ ও জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি দীর্ঘসময় ধরে খাওয়া উচত নয়। এর ফলে হতে পারে মারাত্মক রোগ। ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ বা রক্ত জমাট বেঁধে ধমনি আটকে যাওয়া, ‘পালমোনারি এমবোলিজমসহ সবিভিন্ন রোগ হতে পারে।
চার. এসব ওষুধ শোষিত হয় যকৃতে। ফলে তা অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এছাড়া নিষ্ক্রিয়ও করে দিতে পারে।
পাঁচ. এসব ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা, ডায়রিয়া, যোনীপথে অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ, ব্যথা, পেশিতে টানসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
উল্লেখিত ক্ষতি সমূহ জানার পরেও
যদি আপনি মনে করেন যে আপনার স্বামী ধর্যহীন হবেন তাহলে ওষধ সেবন করতে পারেন।