মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদবকে ইসলামের সারবস্তু বললেও হয়তো অত্যুক্তি হবে না। আদর্শ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক শিষ্টাচার ও চারিত্রিক উৎকর্ষ অর্জন মুসলিমের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। সেজন্যই ইসলামে সামাজিক আদব-শিষ্টাচারকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সামাজিক আচার-আচরণের ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। ইসলামের সামাজিক বিধান এতটাই পরিপূর্ণ ও সুবিন্যস্ত যে, মানবসভ্যতায় এর নজির বিরল। এখানে আমরা ইসলামে নারীর কিছু বিশেষ আদব-শিষ্টাচার নিয়ে আলোচনা করব।
এক. পথে পুরুষদের থেকে আলাদা হয়ে হাঁটবে।
দুই. রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটবে না, কিনারা ধরে হাঁটবে।
তিন. ঝংকার তুলে, এমন গয়না পরবে না।
চার. রুপার গয়না দিয়ে কাজ চালিয়ে দেওয়া ভালো।
পাঁচ. মেয়েদের জন্য সবসময় মেহেদী ব্যবহার করা উচিত।
ছয়. মেয়েদের জন্যে এমন সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত, যার রঙ পুরোপুরি ফুটে উঠে; গন্ধ কম ছড়ায়।
সাত. মেয়েদের জন্যে এতোটা হালকা কাপড় পরা উচিত নয়, যার ওপর দিয়ে তার সৌন্দর্য দেখা যায়।
আট. কাপড় পাতলা হলে নীচে মোটা কাপড় লাগিয়ে নিবে।
নয়. যেসব নারী পুরুষের আকার ধরে, তাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ।
দশ. বিয়ে বৈধ নয় এমন সঙ্গী ছাড়া নারীর জন্যে সফর করা জায়েজ নয়।
এগারো. মাসিক অবস্থায় কোন নারী পবিত্র জায়গা যেমন মসজিদে যেতে পারবে না। কুরআন শরীফ ছুঁতে পারবে না। তবে সে কোন জিনিস ছুঁলে, তা অবশ্য নাপাক হবে না। তাই সে খাবার রান্না করতে পারবে। শরীয়তে মাসিক অবস্থায় স্বামী সঙ্গম ছাড়া তার সাথে আর সব কিছু করতে পারবে।
হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, আমি এ অবস্থায় নবীজিকে চিরুনি করে দিতাম। তাঁর মাথা ধুয়ে দিতাম। একবার তিনি আমাকে একটি জিনিস তুলে আনতে বললেন। আমি অপবিত্রতার কথা তুললাম। তিনি বললেন, অপবিত্রতা তোমার হাতে লেগে নেই।
বারো. আল্লাহ তাআলা খুবই পছন্দ করেন। তাই ঘরের বাইরে খালি জায়গাও তোমরা পরিস্কার করে রেখ।
তথ্যসূত্রঃ
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী।
লেখক, মুহাদ্দিস, মাদরাসায়ে হালিমাতুস সাদিয়া রাযি. ঢাকা।