মহিলারা ঘরেই নামায আদায় করবে। মহিলাদের জন্য জামাত জরুরী নয় বরং মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে শরীক হওয়া নিষেধ। –ফাতহুল বারী ২/২৯০
তবে যদি কোথাও মহিলারা জামাতের সাথে মহিলা ইমামের পিছনে নামায পড়ে তাহলে কতক আলেম বলেন, মহিলাদের নামায আদায় হয়ে যাবে। কারণ, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে ওরাকাকে তার ঘরের লোকদের ইমামতি করার অনুমতি দিয়েছেন।–আবু দাঊদ, সালাত অধ্যায়, অনুচ্ছেদ: মহিলার ইমামতি,হাদীস নং ৫৯১;
আর যদি তারা তা করে তবে ইমাম মাঝখানে দাঁড়াবেন; কারণ আয়িশা রাযি. তেমনটি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, মহিলার জন্য কোন পুরুষের ইমাম হওয়া নাজায়েজ। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক খুতবায় ইরশাদ করেছেনঃ … “আলা লা তাউম্মান্না ইমরাআতুন রাজুলান” খবরদার! কোন মহিলা যেন পুরুষের ইমাম না হয়৷ –ইবনে মাজাহঃ কিতাব ইক্বামাতিস সালাহঃ বাব ফী ফারদ্বিল জুমুআহ;
তাছাড়া নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘ঐ সম্প্রদায় কখনো সফলকাম হতে পারে না, যারা কোন মহিলাকে তাদের বিষয়াদির নেতা নিযুক্ত করে”। –বুখারী, অধ্যায়: মাগাযী, নং ৪৪২৫; যেহেতু ইমামতি এক প্রকারের নেতৃত্ব, তাই তাদের এ পদে নিযুক্ত করা হারাম।
Leave a Reply