প্রচলিত শেয়ার ব্যবসা হালাল ও হারামের দৃষ্টিতে বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। তাই এ থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ।
এক. সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এমন ব্যবসা করতে হবে যা শরীয়তের দৃষ্টিতে হালাল। মোটাকথা, কোম্পানীর মূল ব্যবসাটি হালাল হতে হবে। যেমন ঔষধ কোম্পানী, ইনষ্ট্রাকশন কোম্পানী ইত্যাদি।
দুই. ওই কোম্পানির কিছু সুনির্দিষ্ট মাল (Fixed Assets) থাকতে হবে। যেমন, জায়গা, কল-কারখানা, বিল্ডিং, মেশিন ইত্যাদি। অর্থাৎ মূল মূল্যের চেয়ে কমবেশি করে বিক্রি করার জন্য শর্ত হল, কোম্পানীর মূল সম্পদ (Liquid Assets) শুধু টাকা হতে পারবে না, বরং টাকার সাথে সাথে অন্যান্য সম্পদও থাকতে হবে।
তিন. যদিও মূল ব্যবসা হালাল, কিন্তু যদি উক্ত কোম্পানিতে কিছু সুদী বা হারাম লেনদেনও হয়, তবে খুবই কম। তাহলেও সেই সুদী ও হারাম লেনদেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক সাধারণ সভায় (Annual General meeting A.G.M) উপস্থিত হয়ে জানিয়ে দিতে হবে যে, আমি সুদকে হারাম বিশ্বাস করি। আমি সুদের আদান-প্রদান রাজি না। তাই কোম্পানি সুদ মুক্ত হওয়ার দাবি জানাই।
চার. এরপরও যদি তাকে সুদ দেয় তাহলে কোম্পানীর যতটুকু আয় সুদ থেকে হয়, তা হিসেবে করে বের করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।
উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। অন্যথায় জায়েজ নেই।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তাই এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং আমাদের পরামর্শও।
আরও জানতে দেখুন-
ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪, ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১, ফিকহী মাকালাত ১৪৪
লেখক, মুহাদ্দিস, মাদরাসায়ে হালিমাতুস সাদিয়া রাযি. ঢাকা।