কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ.
‘কখনো তাদের কেউ মারা গেলে তুমি তার জানাযা পড়ো না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়িও না (দুআ-ইস্তিগফারের জন্য বা দাফন-কাফনের জন্য)। তারা তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং না-ফরমান অবস্থায় মারা গেছে।-সূরা তাওবা (৯) : ৮৪), তরজমা : তাফসীরে উসমানী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন
দীনী মাদরাসা সম্পর্কে সমালোচনা করে একজন ধর্ম-বিদ্বেষী ব্যক্তি সম্পর্কে শুনেছি যে, সে লিখেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে শিশুদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়, কোনো বিধর্মীর মৃত্যুর সংবাদ পেলে ‘ফী নারি জাহান্নাম খালিদীনা ফীহা’ বলতে হয়! আল্লাহ তাআলা তাদেরকে মিথ্যাচার ত্যাগ করার তাওফীক দান করুন। উপরোক্ত বক্তব্য শরীয়ত ও দীনী মাদরাসা উভয়ের সম্পর্কেই মিথ্যাচার। না মাদরাসায় এই শিক্ষা দেওয়া হয় আর না শরীয়তে কোথাও এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। একজন ব্যক্তি জীবদ্দশায় কাফির হলেও তার মৃত্যু কোন হালতে হয়েছে তা তো গায়েবী বিষয়, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন।
যাদের কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণের সংবাদ শরীয়তের দলীল দ্বারা প্রমাণিত, তাদের বিষয় আলাদা। এছাড়া সাধারণভাবে কারো সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, সে কাফের অবস্থাতেই মৃত্যু বরণ করেছে। অতএব তার মৃত্যুতে ‘ফী নারি জাহান্নামা’ কীভাবে বলা যায়?
উপরন্তু কাফের অবস্থায় মারা গেলেও এই বাক্য পড়তে হয়-এই বিধান কোথায় আছে? কারো সম্পর্কে কিছু বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা শুধু শরীয়তেরই বিধান নয়, সভ্যতা ও শরাফতেরও অপরিহার্য দাবি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই শরাফত দান করুন। আমীন।
Leave a Reply