ইতিহাসে পঞ্চাশ জনের মতো ভ্যালেন্টাইন নামক ব্যক্তি পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুজন অত্যন্ত বিখ্যাত। সাল ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দ। রোম নগরীতে বাস করতেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক খ্রিস্টান এক পাদ্রী। পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। একজন ভ্যালেন্টাইনকে রোমান রাজা কারাবন্দি করেছিল। তিনি অন্তরীণ হওয়ার পর কারাগারের প্রধান রক্ষকের মেয়ের প্রেমে পড়েন। মেয়ের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি একটি প্রেমময় চিরকুট লিখে যান। এ জন্য তিনি খ্রিষ্টান সমাজে প্রেমিকদের যাজক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
বলা হয় প্রেমিকদের যাজক ভ্যালেন্টাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি মারা যাওয়ার পর তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন শুরু হয়। আর এ দিনের নাম রাখা হয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে। সেই থেকে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ অল্প সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে আজ এ দিবসটি নিয়ে টালমাটাল অবস্থা। অপসংস্কৃতির এ বেড়াজাল থেকে রক্ষা পায়নি বাঙালি জাতিও। সময়ের পরিবর্তনে আমাদের দেশে শুরু হয় এ দিবসের পথচলা। প্রতি ১৪ ফেব্রুয়ারী ঘটা করে পালিত হয় কথিত ভালোবাসা দিবস। কিন্তু এ দিবস আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? কীইবা দিচ্ছে সমাজকে?
প্রত্যেক মুমিনের জন্য প্রতিটি মহূর্তই ভালোবাসা। তাই এর জন্য দিনক্ষণ টেনে আনার প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া এ দিবসটি আামাদের সংস্কৃতির বাইরে। কল্যানকর কিছু আজও দেখতে পায়নি দিবসটিতে। যা দেখেছি। শুনেছি। সবই নোংরামিতে ভরপুর।
আমি মনে করি, ‘অতি শিঘ্রই এ নোংরামি বন্ধ না হলে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের দিন খুব সন্নিকটে। পার্ক গুলোতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আবাসিক হোটেলের রমরমা ব্যবসারও একটা বিহিত করা উচিত। অপসংস্কৃতি নির্মূল করে, নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মসহ সকলকে এ দিবসটি থেকে দূরে রাখা উচিত।’
প্রিয় পাঠক! আসলে দিনশেষে এ ভালোবাসা দিবসের কোনো ভিত্তি নেই। অপ্রয়োজনীয়, অপসংস্কৃতি চর্চা, আধুনিকতার নামে মূর্খতার বহিঃপ্রকাশ। রবের দিকে রুজু হয়ে থাকায় মুমিনের প্রকৃত ভালোবাসা। মনের কোণে চরম শান্তি পাওয়া যায় স্রষ্টা এবং সৃষ্টির ভালোবাসার মধ্য দিয়ে।সবকিছু কে ছাপিয়ে জিতে যায় রবের ভালোবাসা।
Leave a Reply